ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যেদিন, ২৮ অগাস্ট, ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান পণ্ড করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংবাদিককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হলো, ওইদিনই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আজকের বাংলাদেশ দেখলে বোঝা যায় না এই দেশে একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।”
মেজর (অব.) হাফিজ নিজেও একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করা একজন মানুষকে স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরে এসে যদি এরকম হতাশার কথা বলতে হয়, সেটি শুধু ওই মুক্তিযোদ্ধার জন্যই নয়, বরং পুরো দেশ ও দেশের ২০ কোটি মানুষের জন্যই লজ্জার। পৃথিবীর আর কোনো দেশের মানুষ নিজের দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রশ্নে এতটা বিভাজিত কি না—তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পৃথিবীর কোনো দেশে নিজ দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে, হানাদার বাহিনীর পক্ষ নিয়ে নিজ দেশের মানুষের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের অভিযোগ মাথায় নিয়েও কোনো দল সেই দেশের মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারে এবং রীতিমত ক্ষমতার পাদপ্রদীপে চলে আসতে পারে—এরকম বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষীও বোধ হয় একমাত্র বাংলাদেশই।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
মেজর (অব.) হাফিজ যেদিন এই বক্তব্য দিলেন, সেদিনই লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ লিখেছেন, “মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধার বিষয় এলেই কিছু লোকের গায়ে জ্বালা ধরে। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী, বিএনপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে মব সন্ত্রাস তাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের কারণেই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও আক্রান্ত হয়েছেন এই আলোচনা সভায় যোগ দেবার অপরাধে।”
কেন এই অনুষ্ঠানটি পণ্ড করা হলো এবং পুলিশ কেন তাদের ধরে নিয়ে গেল? কেন একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া হলো? আলোচনায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসী কাজ? তাহলে কি এরপরে টেলিভিশনে কোনো বক্তা ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান নিয়ে আলোচনা করলে বা ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে কিছু বললে কিছু লোক জড়ো হয়ে টেলিভিশন স্টেশনে গিয়ে ওই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেবে? তারপর পুলিশ গিয়ে আলোচকদের ধরে এনে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করবে।
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এসব বরদাশত না করার উচ্চারণসর্বস্ব অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কিন্তু বাস্তবে আইন ও আদালতের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। তাতে ‘মব জাস্টিস’ পরিচালনাকারীরাই উৎসাহ পাচ্ছে।
তিনি জামিনের জন্য ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেননি বলে তার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সাইফ জানিয়েছেন।
ওই আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “লতিফ সিদ্দিকীর জামিন প্রার্থনার জন্য তার কাছে ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিতে যাই আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে। তখন তিনি বলেন, যে আদালতের জামিন দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তার কাছে কেন জামিন চাইব? আমি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করব না, জামিন চাইব না।”
টাঙ্গাইলের বিখ্যাত সিদ্দিকী পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য যেমন প্রশংসিত হয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে বহুবিতর্কেরও জন্ম দিয়েছেন। তবে রিপোর্টার্স ইউনিটির ওই বৈঠকটি কিন্তু একজন লতিফ সিদ্দিকী আছেন বলে পণ্ড করা হয়নি। সৌভাগ্য যে, ওই বৈঠকে যেতে দেরি হয়ে গিয়েছিল ড. কামাল হোসেন ও জেড আই খান পান্নার মতো প্রবীণ আইনজীবীদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতের কাছে প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আনা অভিযোগের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ যে যুক্তি তুলে ধরেছে, তা ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন ওই মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। আইন বিভাগের এই শিক্ষক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতের কাছে এর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
আদালতে তিনি বলেন, “আমরা ভিকটিম। এর প্রতিকার চাই। আমাদের এখনই রিলিজ দিবেন। আমাদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চাই। আর এখনই জামিন দিবেন। আমরা কারো কোনো দলীয় লোক নই।”
অধ্যাপক কার্জন যে নিজেকে ‘কারো দলীয় লোক নন’ বলে দাবি করেছেন, সেটি যাচাই করার জন্য তার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাপ করে আমি জেনেছি তিনি ছাত্রজীবনে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত ছিলেন না। সাংবাদিকতা করেছেন দৈনিক সংবাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে। শিক্ষকতা জীবনেও সরাসরি রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছেন। তবে বিগত আওয়ামী রেজিমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বামধারার শিক্ষকদের একটি প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্যানেলের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি কেন ওই বৈঠকে গিয়েছিলেন? কারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তার অঙ্গীকার আছে। সংবিধান সম্পর্কে আছে সম্যক ধারণা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না চিৎকার করে প্রশ্ন করছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বললে, লিখলে সন্ত্রাসী হয়ে যেতে হয় কেন? তিনি হাতকড়া উঁচিয়ে দেখাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন জানতে চান, হাতকড়া পরাবেন, আবার দেখাতে দেবেন না কেন?
মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান নিয়ে আয়োজিত বৈঠকটি পণ্ড করা এবং অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলে পড়ার কারণ এই যে, ওই গোলটেবিলের আয়োজক সংগঠকের নামের সঙ্গে ‘৭১’ শব্দটি আছে এবং অনুষ্ঠানের শিরোনামে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সংবিধান শব্দটি রয়েছে? তার মানে এই দেশে স্বাধীনতা ও সংবিধান প্রশ্নে কোনো আলোচনা করা যাবে না বা ৭১ শব্দটি উচ্চারণ করা যাবে না?
কিছুদিন আগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক উসকে দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ৩০ লাখ নয় বরং দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন। তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে রসিকতা করে লিখেছেন, ২ হাজারও যথেষ্ট বেশি। সংখ্যাটা হয়তো দুইশ হবে। কেউ কেউ লিখেছেন, এরপরে হয়তো বলা হবে, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে কোনো মুক্তিযুদ্ধই হয়নি। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের ভাষণ, ২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউন, ২৬ ও ২৭ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপাঠ, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়—এর সবকিছুই হয়তো ফিকশন বা কল্পকাহিনি! হয়তো ওই শঙ্কা থেকেই মেজর (অব.) হাফিজের মতো একজন সম্মুখসারির যোদ্ধাকে ৮১ বছর বয়সে এসে বলতে হচ্ছে, “আজকের বাংলাদেশ দেখলে বোঝা যায় না এই দেশে একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।”
প্রশ্ন হলো, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা কেন ২ হাজার বলার চেষ্টা করা হচ্ছে? তার কারণ, শুরু থেকেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া বা তারও চেয়ে মহিমান্বিত করার একটা অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর চেষ্টা চলছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা দেড় হাজারের মতো। আর গত ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যাটা এক হাজার। বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ বা এর কাছাকাছি—সেটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। এ বিষয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। লেখালেখি হয়েছে। ফলে এ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক করা নিরর্থক। এখন চব্বিশকে একাত্তরের সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শহীদের সংখ্যা কি অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলেই কিছু লোকের গায়ে জ্বালা ধরে। কেন জ্বালা ধরে তার কারণও স্পষ্ট। সেটি হলো, ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধার প্রসঙ্গ এলেই সেখানে অনিবার্যভাবে আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পূর্ববর্তী স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাস লেখা অসম্ভব।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের স্খলন; শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্ন হওয়া এবং দলটিকে শেখ পরিবারের লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করার দায় কতিপয় ব্যক্তির। সেই দায় দেশের মানুষের নয়।
এগুলোর সঙ্গে ঐতিহাসিক সত্য ও প্রতিষ্ঠিত বিষয়গুলোর কোনো সংঘাত নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা এবং তার ফ্যাসিবাদী শাসনামলের সমালোচনা করতে গিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন বয়ান সামনে আনা হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ করা গেলে ১৯৭১ সালে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া সহজ হয়। সুতরাং, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের ভাষায় মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, ১৯৭১ ও বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলেই যাদের গায়ে জ্বালা ধরে, তারা মূলত এই শব্দগুলোকে ভয় পায়। তারা সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকে। একাত্তরে পরাজয়ের গ্লানি তারা ভুলতে পারে না। ফলে এখন ক্ষমতার পাদপ্রদীপের তলায় থেকে চুয়ান্ন বছর আগের সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে চায় তারা। এটা শুধু দেশের কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়, বরং যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার মধ্য দিয়ে যাদের একরকম নৈতিক পরাজয় হয়েছে, তারাও হয়তো এখন এই সুযোগে চুয়ান্ন বছর আগের পরাজয়ের গ্লানি মুছতে চায়।
জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় জীবনে নিঃসন্দেহে একটি বড় ঘটনা। বড় অর্জন। জনগণের আন্দোলনের মুখে একজন শাসকের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্বের ইতিহাসেই বিরল। কিন্তু ওই বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে নানাভাবে বিতর্কিত করা ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী মানুষেরাও আছেন। ফলে অনেকের মনেই এখন এই অভ্যুত্থানের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা দলগুলোর মধ্যেই অনৈক্য ও বিভাজন স্পষ্ট।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কয়েকটি সংস্কার কমিশনের প্রধান
গত বছরের ৫ অগাস্টের পর থেকে রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে সবগুলো রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে সুদৃঢ় ঐক্য দৃশ্যমান হওয়ার কথা ছিল, তা অনুপস্থিত। এখানে শুধু ক্ষমতার দ্বন্দ্বই প্রধান কারণ নয়, বরং এখানে রয়েছে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন, বিভ্রান্তিকর, হাস্যকর এবং সুপরিকল্পিত মিথ্যা বয়ান প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে কোনো বিতর্ক তৈরি না করে বরং দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়া, দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ সহজ ও দ্রুত করার বিষয় নিয়ে আলোচনাটি দৃঢ় করা গেলে দেশ ও মানুষের জন্যই কল্যাণকর হতো। কিন্তু সেটি না করে একটি পক্ষ শুরু থেকেই যেভাবে ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে আক্রমণ করছে এবং চব্বিশকে একাত্তরের মুখোমুখি বা তার সমান অথবা তার চেয়ে মহিমান্বিত করার চেয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তার মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে জুলাই অভ্যুত্থানকেই খাটো করা হচ্ছে। এই অভ্যুত্থান নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ যে বয়ান দেওয়ার চেষ্টা করছে, সেটিই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। সুতরং কে কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, সেটিও বোঝা দরকার।